
Caudal regression syndrome (CRS) (OSD)
কডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম: স্পাইনাল কর্ডের নীচের দিকটা সঠিক ভাবে তৈরী হয় না, সঙ্গে স্যাক্রাম নামক হাড়ও অসম্পুর্ন থাকতে পারে। ৭৫০০ জীবিত শিশুর মধ্যে একজনের এই রোগ দেখা যায়। একই রোগীর মুত্রথলী সঠিকভাবে তৈরি না হতে পারে। অনেক সময় নাভি ফোলা থাকে (ওমফ্যালোসিল)। খাদ্যনালির নীচের দিকে, ভার্টিব্রায় ও হার্টের সমস্যা থাকতে পারে। কখনো শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীর মধ্যে একটি অস্বাভাবিক কানেকশন ( ফিস্টুলা) থাকতে পারে। রোগটি নানা ভাবে প্রকাশ পেতে পারে, যেমন- পিঠের পেছনে ব্যথা, পিঠ বাঁকানো, প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা, প্রস্রাব আটকে যাওয়া, পায়ে ব্যথা, পা নাড়াতে অসুবিধা, পায়ের পাতা বাঁকা- উঁচু, দুই পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল দুই রকম, পায়ের তলায় ব্যথা বিহীন ক্ষত, পায়ের পাতার উপরের দিকে অবস, দুই পা শক্ত এবং পিঠে একটি ছোটগর্ত ( ডার্মাল সাইনাস) থাকতে পারে। চিকিৎসার জন্য অর্থোসিস গুরুত্বপুর্ন, সেক্ষেত্রে একজন শিশু অর্থোপেডিক্স ডাক্তারের পরামর্শে হিপ জয়েন্ট, হাঁটুতে এবং অ্যাঙ্কেল জয়েন্টের সাপোর্টের জন্য AFO, KFO ব্যাবহার করা যেতে পারে। সঠিকমতো ব্যায়াম বা ফিজিওথেরাপি করাতে হবে। প্রসাবের থলিতে যদি প্রসাব থেকে গেলে অতিরিক্ত প্রসাবের চাপে কিডনী ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। সেক্ষেত্রে কম বয়সী বাচ্চা হলে তাকে বারে বারে ক্যাথেটার করাতে হবে, আর বাচ্চা বড়ো হলে সে নিজেই ক্যাথেটার করে অতিরিক্ত প্রসাব বের করে দিতে পারবে (CISC)। আশার ব্যাপার এ রোগে ব্রেইন ও বাকি স্নায়ুতন্ত্রের অবস্থান খুব ভালো থাকে। ফলে তার বুদ্ধির বিকাশ হয়। হুইল চেয়ারে বসেই পড়াশোনা করতে পারে। বড় হলে কিছুটা সাপোর্টে মোটামুটি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। এরকম একজন দক্ষিন আফ্রিকায় ক্লিমানজারো পর্বত জয় করেছেন শুধুমাত্র হাতের উপর ভর করে। ২০১৯ সালে এ রোগে আক্রান্ত একজন রোগী শুধুমাত্র হাতের পাতার সাহায্যে দৌড়িয়ে গ্রিনিজ ওয়ার্ল্ড বুকে নাম লিখিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডে একজন রোগী সাতারে পদক জিতেছিলেন। আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে নিলে রোগী সম্পুর্ন সুস্থ না হলেও অনেকটা স্বাভাবিক জীবন নিয়ে চলতে পারে।