
Medulloblastoma
মেডুলোব্লাস্টোমা: একটি ব্রেইন টিউমার। টিউমার ব্রেনের অন্যান্য অংশ এবং ব্রেনের স্পাইনাল কর্ডে ছড়াতে পারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ১৬ বছর বয়সের আগে হয়ে থাকে। লক্ষণঃ মাথা ব্যাথা, চলাফেরায় জড়তা, হাতের লেখায় সমস্যা চোখে দেখা সমস্যা, হাঁটার সময় টাল খাওয়া, কখনো কখনো পিঠে ব্যথা, প্রস্রাব পায়খানার নিয়ন্ত্রণ হারানো, সকালে বমি দিনে দিনে বমির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসাঃ সার্জারি এই রোগের প্রথম এবং প্রধান চিকিৎসা। সার্জারির উদ্দেশ্য যথাসম্ভব বেশি পরিমাণে টিউমার বের করা। অপারেশনের পরে দুই ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে- রেডিয়েশন থেরাপিঃ এখানে উচ্চমাত্রার এক্সরে ব্যবহার করে রেডিয়েশনের দ্বারা ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলা হয় অথবা তার দমন করা হয়। কেমোথেরাপিঃ এখানে কিছু ঔষধের দ্বারা ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করা হয় বা দমন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রেডিয়েশন থেরাপি বা কেমোথেরাপি একসাথে চালানো সম্ভব। বেঁচে থাকার হারঃ রোগী বেঁচে থাকা সুস্পষ্টভাবে কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল- বয়সঃ তিন বছরের নিচে বাচ্চাদের রোগের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। টিউমার ছড়িয়ে পড়াঃ টিউমার যত ছড়িয়ে পড়বে এর ঝুঁকিপূর্ণতা তত বৃদ্ধি পাবে। সেন্ট জুডস হাসপাতালে সমীক্ষায় দেখা যায় ছড়িয়ে পড়েনি এবং ৩ বছরের বেশি বাচ্চাদের শতকরা ৭০ থেকে ৮০ জনই বেশ লম্বা সময় ধরে ভালোভাবে বেঁচে থাকে। আপনি কেন এ রোগে আক্রান্ত আপনার শিশুকে চিকিৎসা করাবেনঃ প্রথমত এই রোগে আক্রান্ত বেশকিছু শিশু সার্বিক চিকিৎসার পরে দীর্ঘ সময় ভালো থাকে। তবে এই চিকিৎসার জন্য অপারেশন পূর্ববর্তী রোগীর ইভালুয়েশন বা মূল্যায়ন, মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে সঠিকভাবে অপারেশন এবং অপারেশন পরবর্তী সময়ে নিউরোসার্জন ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এর সমন্বয়ে নির্দিষ্ট প্রটোকলে থেকে চিকিৎসা করালে বাঞ্ছিত ফলাফল পাওয়া যায়। এই রোগের কারণে ব্রেইনের পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে, পারে এক্ষেত্রে কিছু রোগীর ব্রেইনের পানি চলাচলের রাস্তা তৈরি করে দেয়া লাগতে পারে।