
Osteoporosis, unspecified
ক্যালসিয়াম সল্পতা ও করনীয় ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ন। ক্যালসিয়াম স্বল্পতা সব বয়সেই দেখা দিতে পারে। বিশেষত মেয়েদের চল্লিশের পরে বেশি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। বয়স এক বছরের কম হলে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম, বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে ১০০০ গ্রাম, বয়স 50 এর উপরে হলে প্রতিদিন ১৫০০ গ্রাম এবং প্রেগনেন্সির সময়ে আরও ১ হাজার মিলিগ্রাম বেশি ক্যালসিয়াম প্রয়োজন পড়ে (এই তথ্যগুলি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে)। ক্যালসিয়ামের ও ভিটামিন ডি কিভাবে পাওয়া যায়? মাছ -- দুধ-- সবজি --- ভাত এই চারটি উপাদান ক্যালসিয়াম এর ভালো উৎস। দুধ: খুব সহজেই হজম হয় এবং শরীরে শোষিত হয়। দুধের পাশাপাশি দই বা অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। শুধুমাত্র দুধ খেয়ে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে চান তাহলে প্রতিদিন কমপক্ষে 4 থেকে 5 কাপ দুধ পান করতে হবে। দুধ দিয়ে ওটস মিল রান্না করলেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সবুজ শাকসবজি: দারুচিনি, রসুন, পুদিনা এসব মশলায় অনেক ক্যালসিয়াম থাকে। সবুজ শাক সবজির ভিতরে সিম, পালং শাক, লেটুস, সয়াবিন , সর্ষে শাক, বাদামে বাঁধাকপি, ফুলকপি, মাশরুম, ব্রকলি, ডালে, শুকনো খেজুরের প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এক কাপ রান্না করা মুগডালে 270 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, পালংশাকে প্রায় 245 মিলিগ্রাম থাকে । চাল: আটা থেকে বেশি ক্যালসিয়াম থাকে প্রায় তিনগুণ। মাছ: সামুদ্রিক মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। মাছের কাঁটাও চিবিয়ে খাওয়া ভালো, প্রতিদিন 2 কাপ দুধ, শাক-সবজি, ডাল ও মাছ খেতে পারেন তাহলে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাবেন। ভিটামিন সি ক্যালসিয়াম শোষণ হতে সহায়তা করে। চা-কফি, আর্সেনিক দুষিত খাবার, কীটনাশকের টক্সিন ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। ক্যালসিয়াম শোষনের জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় - আর সে জন্য গায়ে রোদ লাগানো ই আসল উপায়। ওষুধ খাওয়ার থেকে সচেতনভাবে উপযুক্ত খাবার খাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়।