
Arrested Hydrocephalus
অ্যারেস্টেড (স্থির) হাইড্রোক্যাফালাস: এ রোগে ব্রেনের ভিতরে পানি তৈরি হওয়া এবং পানির রক্তের সঙ্গে মিশে যা্ওয়ার ভারসাম্য থাকবে। ফলে পানি ব্রেইনকে চাপ দেয় না, তাকে এরেস্টেড হাইড্রোকেফালাস বলে। অনেকে কম্পেন্সেটেড হাইড্রোক্যাফালাস বলে থাকেন। লক্ষন ও পরীক্ষা: হাঁটতে সমস্যা, স্মৃতিশক্তির কম, প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা, চোখে দেখার সমস্যা থাকতে পারে। নিয়মিত রোগীর মাথার মাপ নিতে হয় । মাথার সামনের নরম যায়গা ফুলে আছে কিনা? নিউরোলজিক্যাল যেসব লক্ষণ আছে সেগুলি আর বৃদ্ধি পাবে না এবং মানসিক বৃদ্ধি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক থাকবে। অ্যারেস্টেড হাইড্রোক্যাফালাস দুটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। রোগের লক্ষণ ও এবং অন্যটি হচ্ছে সিটি স্ক্যান/ এমআরআই পরীক্ষার উপর। এক্ষেত্রে মাথার ভেতরে পানির গহ্বর বা ভেন্ট্রিকল বড় থাকে কিন্তু পার্শ্ববর্তী ব্রেইনের সালকাস (পানিপূর্ণ ছোট ছোট ভাঁজগুলি) তে পর্যাপ্ত পানি থাকে । ব্রেইন এর পানির ডাইনামিক স্টাডি ( CINE এমআরআই), চোখের পরীক্ষা ( ফান্ডাল ফটো এবং ও এএনএসডী ) গুরুত্মপূর্ন। সতর্কতা: কোন ভাবেই মাথায় আঘাত না লাগে। সাধারণ মাথায় আঘাত থেকেও অ্যারেস্টেড হাইড্রোক্যাফালাস ডিকমপেন্সেটেড হতে পারে এবং অল্প আঘাতে রক্তক্ষরণের ভয় থাকে। চিকিৎসা: এসিটাজোলামাইড নামক ওষুধ কিছুটা কাজ করে। যদি কখনো আবারো পানি জমে এবং ব্রেইনের উপরে চাপ দেয় তাহলে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। রোগী একবার দেখে কখনোই বলা যাবে না যে একটি রোগী অ্যারেস্টেড হাইড্রোক্যাফালাস । সিরিয়াল ফলোআপ প্রয়োজন ।